কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসিল্যান্ড) গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি ৬ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, “এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের কারোর চোখে, কারোর হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লেগেছে। তবে সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।”
এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী কুমিল্লা জিলা স্কুলের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ ও গণমিছিল শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামের সামনে অবস্থান নেওয়ায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে বিক্ষোভ মিছিলের কিছুটা দূরে অবস্থান করলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে কুমিল্লা জিলা স্কুল রোডে ঈদগাহের সামনে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান করে। পরে দুপুর ১ টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশলাইন হয়ে রেইসকোর্স এলাকা যাওয়ার পথে পেছন দিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে। এ সময় শটগানের গুলিতে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় অন্তত ২০ জন। পরে ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটে পালিয়ে যায়।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের মুর্হুমুহ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গোটা নগরী। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোাগান দেয় ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছেরে জেগেছেরে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’।