বরিশাল বিভাগের ছয়টি নদীর পানি সকাল থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেছেন, “পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে বেশ কিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এ অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী আরও বলেন, “বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯ নদীর পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার পানি নেমে যাবে।”
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেলা সাড়ে ৩টায় তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বিকেল সাড়ে ৫ টায় ভোলা খেয়াঘাটের তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জের পায়রা, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি, বরগুনার বিশখালী ও আমতলীর বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।