• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পদ্মা সেতুতে ৬ কিলোমিটারজুড়ে যানজট, ফাঁকা আরিচা ঘাট


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
পদ্মা সেতুতে ৬ কিলোমিটারজুড়ে যানজট, ফাঁকা আরিচা ঘাট

ঈদের আর মাত্র তিনদিন বাকি। বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতুতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে করে সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে ছনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর থেকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজা এলাকায় যানবাহন চাপ বাড়তে থাকে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। তাই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় টোল প্লাজায় যানবাহনগুলোকে টোল গ্রহণে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। 

এতে করে টোল প্লাজা এলাকা থেকে ছনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সেতু এলাকায় যানবাহনের কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে মহাসড়কে তেমন কোন ভোগান্তি নেই।

এদিকে যানবাহনের তেমন কোন চাপ নেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা ফেরিঘাট এলাকায়। 

শুক্রবার সকাল থেকে দুটি ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীচাপ চাপ না থাকায় কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে যাচ্ছেন দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীচাপ চাপ না থাকায় কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়া নদী পার হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা। তবে  ঢাকা ও তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাটাপথে আসা ঘরমুখো মানুষের কিছুটা চাপ রয়েছে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে মোট ২৩টি ফেরি চলাচল করছে। তাছাড়া একটি ছাড়া সবগুলো (১০) ঘাট সচল থাকায় যানবাহন আসা মাত্র অপেক্ষায় না থেকে যানবাহনগুলো নদী পার হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, “জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটি সমন্বিত হয়ে যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে তাতে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ভোগান্তি ছাড়া নদী পার হতে পারবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা।”

ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী পরিবহনের জন্য পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ায় ৩০টি লঞ্চ, আরিচা থেকে কাজিরহাট ১৩টি লঞ্চ এবং আরিচা থেকে কাজিরহাট নৌপথে ৪১টি স্পিটবোট চলাচল করবে। আগামী দিনে যানবাহনের চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।

Link copied!