সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পেঁয়াজ লুট, ট্রাকের চালক-হেলপারকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে দুটি ধারায় ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ এই রায় দেন।
আদালতের পিপি আব্দুর রহমান ও স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান ও সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খান, সলঙ্গা থানার পাটধারী গ্রামের শীতল প্রামানিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রনি, হাসানপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে সবুজ আলী, বাগুন্দা গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আনিস ড্রাইভার এবং সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের নান্নু মন্ডলের ছেলে সাব্বির আলম ওরফে সবুজ।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সাব্বির আলম ওরফে সবুজ ছাড়া সবাই পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাতে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনা মসজিদ বন্দর থেকে ২৫২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে একটি ট্রাক চট্রগ্রামের উদ্যেশে রওনা হয়। ট্রাকটি সিরাজগঞ্জের সমবায় পেট্রল পাম্পের পাশে থামানো হলে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে চালক মোরশেদ আলী ও হেলপার রবিউলকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে চালক ও হেলপারকে অজ্ঞাতনামা স্থানে আটকে রেখে ট্রাকের মালিকের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাকের মালিক মজিবুর রহমান সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান, সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলা চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় দেন।