কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় রোহিঙ্গাসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাতে টেকনাফ থানায় মামলাটি করেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হুসনে মুবারক।
মামলার প্রধান আসামি হলেন শহিদ উল্লাহ। তিনি টেকনাফ সাবরাংয়ের কাটাবনিয়ার হাসান আলীর ছেলে। এ মামলায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তারা হলেন উখিয়র বালুখালী ক্যাম্পের মো. রশিদ, একই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শরীফ, কক্সবাজারের মহেশখালী কুতুবজুম গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম, একই এলাকার কোরবান আলী, ঈদগাঁর হাজিপাড়ার মো. আবদুল্লাহ ও টেকনাফের কাটাবনিয়া এলাকার শহীদ উল্লাহ।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার ট্রলারডুবিতে উদ্ধার রোহিঙ্গাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি উদ্ধারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে তিন রোহিঙ্গা নারী, এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দালালসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছিল কোস্টগার্ডের সদস্যরা।