• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

গোয়াল ঘরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৪৮ ভরি সোনার গয়না


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
গোয়াল ঘরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ৪৮ ভরি সোনার গয়না
উদ্ধার করা সোনা। ছবি : সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে র‍্যাব পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৯৫ ভরি সোনার গয়না ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় ৪৮ ভরি সোনা উদ্ধার ও ডাকাত দলের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে গোয়াল ঘরের মাটি খুঁড়ে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার রঘুনাথপুর এলাকার আহম্মেদ শেখের ছেলে সিদ্দিক শেখ (৫০) ও রাজবাড়ী জেলার সদর থানার শ্রীপুর এলাকার মৃত আবুল কালাম মিয়ার ছেলে শাহ আলম মিয়া (৪৮)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে গোলাম আজাদ খান বলেন, সোনার গয়না ডাকাতি ও ব্যবসায়ীকে অপহরণ মামলার তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের সদস্য সিদ্দিক শেখকে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার কুচিয়ামোড়া টোলপ্লাজা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিদ্দিক শেখের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদলের অপর সদস্য শাহ আলম মিয়াকে বিকেল পাঁচটার দিকে রাজবাড়ী জেলার শ্রীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর শাহ আলম মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বসতবাড়ির গোয়ালঘরের মাটি খুঁড়ে ৪৮ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এর আগে, ১ জুন সকাল ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে ঢাকার দোহারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন হালদার ও তার সঙ্গে থাকা আরও তিন সঙ্গীকে ৯৫ ভরি সোনার গয়নাসহ জোর করে র‍্যাবের স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাসে তুলে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে উপজেলার গোলাইডাঙ্গা এলাকা থেকে ডাকাত দলের গাড়ির গতিরোধ করে এক র‍্যাব সদস্য, চালকসহ ৫ জনকে আটক করে ধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সুমন হালদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় র‍্যাব সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এ ঘটনার সঙ্গে র‍্যাব–১ এর এক সদস্য জড়িত আছেন। মামলায় তার নাম রয়েছে। এ ঘটনায় প্রথমে পাঁচজনকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে মামলা হলে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Link copied!