আর কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে এবার কোরবানির হাট কাপাতে প্রস্তুত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ‘রাজাবাবু’। ৪০ মণ ওজনের এই ষাড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৮ লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের হাজারবিঘি চাঁদপুর গ্রামের প্রান্তিক খামারি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জুলফিকার আলী গত এক বছর ধরে হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। দেহের গঠন ও রাজকীয়ভাবে হাঁটা-চলার কারণে ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজাবাবু’। সম্পূর্ণ মানসম্মত খাদ্য ও বিজ্ঞানসম্মত পরিচর্যার মাধ্যমে ষাঁড়টি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজাবাবুকে দেখতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিনই লোকজন ছুটে আসছেন।
ষাঁড়টির মালিক খামারি জুলফিকার আলী জানান, ষাঁড়টির দেহের গঠন, রাজকীয়ভাবে হাঁটা-চলা, নম্র-ভদ্র ও খাওয়া-দাওয়ায় নাজুক প্রকৃতির হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে রাজাবাবু। প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই রাজাবাবুকে লালন-পালন করা হয়েছে। ষাঁড়টির পেছনে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা হচ্ছে। রাজাবাবুর খাবারের তালিকায় প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি রয়েছে কলা, আপেল, কমলা, বেদানা ও মৌসুমি ফল আম।
জুলফিকার আলী বলেন, “গত বছর কোরবানিতে ‘সম্রাট’ নামের একটি কালো রঙের ষাঁড় লালন-পালন করেছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এই বছর পালন করি রাজাবাবুকে। এটার দাম চাইছি ১৮ লাখ টাকা।”
তিনি বলেন, “কোরবানির ঈদকে ঘিরে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা ষাঁড়টি দেখতে আসছেন। একেকজন একেক রকম দাম বলছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম এখন পর্যন্ত কেউ বলেননি। তাই স্থানীয়ভাবে দাম না পেলে সন্তান তুল্য রাজাবাবুকে চট্টগ্রামের হাটে নিয়ে যাবো।”
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “খামারি জুলফিকার আলীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাকে দেখে যেন অন্য খামারিরা উৎসাহ পান সে লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আর রাজাবাবু জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় হওয়ায় ষাঁড়টি বিক্রির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।”