রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটারের বেশি দূরে খানপুর গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ওপারে চর মাজারদিয়াড়সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরদিন ভোরে উদ্ধার অভিযানে নামে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহতরা হলেন পবা উপজেলার চর মাজারদিয়াড় গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মোহাম্মদ রাজু (২২), খলিলের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৮), এন্তাজুল হকের ছেলে মো. সবুজ (২০) ও আবুল কালামের ছেলে মো. ফারুক (১৯)।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোরে নৌকায় করে ১৫ জন শ্রমিক পদ্মার চরে কাজে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে সন্ধ্যায় একটি ডিঙিনৌকায় বাড়িতে ফিরছিলেন। চর মাজারদিয়াড় ঘেঁষে যাওয়া পদ্মা নদীর তীরে এসে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় ১১ জন শ্রমিক সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন। বাকি চারজন সাঁতার জানতেন না, তারা তলিয়ে যান। তখন সঙ্গে থাকা অন্য শ্রমিকেরা অনেক চেষ্টা করেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে বিষয়টি রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস রাতের দিকে পদ্মা নদী পার হয়ে ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। পরে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু প্রচণ্ড স্রোতের কারণে বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, গতকাল রাতে ও আজ ভোরে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টার দিকে তাঁদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে তাদের পরিবারকে সহায়তা করা হবে।