নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের হোসেনপুরে কোরবানির গরুর হাটে ৪জন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ও তিনটি গরু লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে ভুক্তভোগী রায়হানের বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে রায়হান তার দুই ভাগনে সারোয়ার ও রনি ৮টি গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে হোসেনপুর গরুর হাটে যান। শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যার দিকে বৈদ্যুতিক বাতির আলো নিয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে তপু হাসান ও রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় তপু হাসানের নেতৃত্বে সোহাগ, সীমান্ত, অনিক, রিয়াদ, সজিব, সিফাত, লিয়াকত, শোভনসহ ১০-১৫ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র, রাম দা, চাপাতি, লোহার রড, লাঠিসোটা নিয়ে হাটের মধ্যে অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা রায়হান, সারোয়ার, রনিকে কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে রায়হানের চাচা শফিক ও ছোট ভাই আলিফ হোসেন এগিয়ে এলে তাদের পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রায়হানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মো. শফিক জানান, তার ভাতিজা রায়হান ও দুই ভাগনে ৮টি গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে হোসেনপুর হাটে যায়। ৫টি গরু বিক্রি হয়। এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য তপু হাসানের নেতৃত্বে তুচ্ছ ঘটনায় হামলা করে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও অবিক্রিত ৩টি গরু ছিনিয়ে নেয়।
অভিযুক্ত তপু হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমাদের লোকজনকেও তারা মারধর করেছেন। টাকা ও গরু লুটের অভিযোগ সত্য নয়।”
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, গরুর হাটে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।