অবশেষে গোপালগঞ্জের সেই দিনমজুর জামাল মিয়াকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফিরোজ মামুন তাকে জামিন দেন।
আদালতের (সদর থানা আমলী আদালত) জিআরও এএসএআই লাভলী আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামাল মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর। এক মাস আগে তার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এর ৬দিন পর সাথী বেগম মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সদ্য জন্ম নেওয়া দুগ্ধপোষ্য দুই কন্যাসহ চার ছেলে মেয়ে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জামাল মিয়া। ঘরে অসুস্থ মা ও চার শিশু সন্তানের লালন-পালন করে দিন কাটছিল তার।
এ অবস্থায় ৮ নভেম্বর রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পরদিন ৯ নভেম্বর জামাল মিয়াকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায়।
একদিকে মায়ের মৃত্যু, অন্যদিকে বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় জামালের ছোট ছোট ৪ সন্তানের জীবন। এরপর গত ১১ নভেম্বর ‘মা কবরে, বাবা জেলে, ৩ বোনকে নিয়ে কোথায় যাবে শিশু সাজ্জাদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অবশেষে ছোট ছোট শিশুদের বাবা জামাল মিয়াকে জামিন দেন আদালত।