সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের সোনার মুকুট চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতি প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার।
এদিকে সকালে ওই মন্দির পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও চুরি যাওয়া মুকুট উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুকুট চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। স্বর্ণের মুকুটটি যেন বিক্রয় অথবা কোনো স্বর্ণের দোকানে গলানো বা ধরন পরিবর্তন করতে না পারে, সে জন্য দোকানগুলোয় বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাইজুল ইসলাম বলেন, মুকুট চুরির ঘটনায় আজ সকালে মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতি প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলাটি তদন্ত করছে জেলা ডিবি পুলিশ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, এখনো মুকুট উদ্ধার হয়নি, তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ব্যাপারটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম বলেননি।
এদিকে ঘটনার পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও মুকুট উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিশেষ করে হিন্দু-মুসলমান সবাই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। আজও সেখানে কোনো পূজা হয়নি। পুণ্যার্থীরা মন্দিরের সামনে থেকে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, যশোরেশ্বরী কালীমন্দির সনাতন ধর্মের ৫২ পিটের এক পিট। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে নিজ হাতে কালীপ্রতিমার মাথায় সোনার মুকুটটি পরিয়ে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে সেটি চুরি হয়ে যায়।