কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড ও কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিপাকে পড়েছেন ফেনী সরকারি কলেজের ৩৩ জন শিক্ষার্থী। এ কারণে আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উপায়ন্তর না পেয়ে মানবিক বিবেচনায় হস্তক্ষেপ চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন এসব শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এই ৩৩ জন শিক্ষার্থী ফেনী সরকারি কলেজে মানবিক ও ব্যবসায় শাখায় ভর্তি হন। ফেনী সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য ন্যূনতম জিপিএ ৪ দশমিক ৭৫ নির্ধারণ ছিল।
তবে ওই শিক্ষার্থীদের প্রায় সবার ফলাফল নির্ধারিত জিপিএ ৪ দশমিক ৭৫-এর ওপরে ছিল। এর মধ্যে ২৪ জনের ফলাফল ছিল জিপিএ-৫। সঙ্গত কারণেই তারা বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষও তাদের আবেদন আমলে নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ করে দেয়।
এমনকি একাদশ শ্রেণির সাময়িক, বার্ষিক ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায়ও তারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নেন। পরবর্তীতে কলেজ থেকেও যথাসময়ে ৩৩ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে বিভাগ ও বিষয় কোড সংশোধনের অনুরোধ জানিয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।
তার আগে সংশোধনের জন্য নির্ধারিত টাকাও ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। অথচ দীর্ঘদিনেও এ ব্যাপারে কোনো সাড়া মেলেনি। আগামী জুনের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত না পেলে ৩৩ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মো. শফি উল্ল্যাহ।