• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রধান শিক্ষকশূন্য ৩১ প্রাথমিক বিদ্যালয়


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২, ১১:৫৭ এএম
প্রধান শিক্ষকশূন্য ৩১ প্রাথমিক বিদ্যালয়

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব ও পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় এসব বিদ্যালয় অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, এ শূন্যতার কারণে বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। তাদের অতিরিক্ত পাঠদানের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রশাসনিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে ১৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৩১টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়।

পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বনুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য। বর্তমানে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। পাঠদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেখভাল করতে হয়।”

পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, “ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ কষ্ট করেন বেশি, বেতন পান সহকারী শিক্ষকের। একজন প্রধান শিক্ষক একটি স্কুলের অভিভাবক আর এই অভিভাবক না থাকলে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে ভালোভাবে পরিচালনা করা পরিপূর্ণ সম্ভব নয়।”

উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বলেন, “৩১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ বিদ্যালয় আছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদগুলো গেজেটে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেয়নি, যার ফলে ওই সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা পদ ফিরে পাওয়ার জন্য মামলা করেছে। মামলা থাকায় প্রধান শিক্ষক পদটি ফাঁকা আছে। এ ছাড়া উপজেলায় কিছু শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক পদটি ফাঁকা হয়ে গেছে।”

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, “উপজেলায় ৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় দাপ্তরিক কাজে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। আমরা চাহিদা পাঠাচ্ছি। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যেও বিষয়টি সমাধান হবে।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!