ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৯ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে প্রায় ৩০ জন কুকুরের কামড়ে আহত হন। উপজেলার সর্বত্র এখন কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাগলা কুকুরের কামড়ে অনেক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, আড়পাড়া, মেইন স্ট্যান্ড, হেলায়, রাইগ্রাম এলাকা থেকে একের পর এক কুকুর কামড়িয়ে আহত করে। পাগলা কুকুরের কামড়ে উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে।
কুকুরের কামড়ে আহত শিশু নিশি আক্তার জানায়, বাড়ির পাশে খেলা করছিল সে। হঠাৎ একটা কুকুর এসে তার পায়ে কামড় দিয়ে ধরে রাখে। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
কুকুরে কামড়ে আহত আব্দুর রউফ জানান, তিনি বাড়ি থেকে ভুট্টা নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে আসছিলেন। মেইন বাস্ট্যান্ডে এসে দাড়ালে পেছন থেকে একটা কুকুর এসে পায়ে কামড় দেয়। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
কুকুরের কামড়ে অন্য আহতরা হলেন রায়গ্রাম এলাকার সুন্নি খাতুন, শিলা খাতুন, দুলাল মুন্দিয়া এলাকার আলপনা খাতুন, হেলাই গ্রামের মাহিরোন নেছা, নিশ্চিন্তপুর এলাকার ইয়াসমিন খাতুন, দিপ্তি দাস, পুর্ণিমা, সনজিৎ অধিকারী, মধুগঞ্জ বাজার এলাকার বকুল অধিকারী, ফয়লা এলাকার সেলিনা খাতুন, হেলাই গ্রামের সাজেদা খাতুন, বলিদাপাড়া এলাকার হাসিনা খাতুন, রাখি খাতুন ও তালিয়ান এলাকার আব্দুর রউবসহ নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আজগর আলী বলেন, “সকালে রায়গ্রাম থেকে কুকুরে কামড়ানো তিনজন রোগী এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দিতে দিতে বলিদাপাড়া রায়গ্রামসহ কালীগঞ্জের আশপাশ থেকে বেশ কিছু রোগী আসা শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৮ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। তবে আরও কিছু রোগী বিক্ষিপ্তভাবে আশেপাশে আছে। এর মধ্যে দুইজন রোগীর ক্ষত গভীর হওয়ায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাকিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।”