শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বিক্রি ও মেরামত করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজন ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত তিনটি ড্রেজার মেশিন ও অর্ধশতাধিক পাইপ ধ্বংস করা হয়।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) উপজেলার নয়াবিল বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
অর্থ জরিমানা ও পাইপ ধ্বংসের বিষয় নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা। তিনি বলেন, তিনজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য এলাকায় মাইকিং করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভোগাই নদীর হাতিপাগার প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ইজারাবহির্ভূত স্থান থেকে কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী নদীর পাড় ভেঙে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন। শুক্রবার বিকেলে ওই স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এ সময় বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে গেলেও বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত তিনটি ড্রেজার ও অর্ধশতাধিক পাইপ ধ্বংস করা হয়। এ সময় বালু পরিবহনের জন্য নয়াবিল বাজার থেকে ভোগাই নদীর পাড় পর্যন্ত বালু ব্যবসায়ীদের নির্মাণ করা প্রায় ৩০০ মিটার কাঁচা সড়ক ভেকু দিয়ে কেটে ফেলা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ড্রেজার মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের খোঁজে নয়াবিল বাজারে এলে সেখানে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির মেরামতের কারখানার সন্ধান পান। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ড্রেজার মেশিন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের খোঁজে নালিতাবাড়ী শহরে আসেন উপজেলা প্রশাসনের লোকজন। কৃষি বিপণন লাইসেন্স না থাকায় কৃষি বিপণন আইনে মধ্যবাজার মল্লিক মেশিনারিজকে ১ লাখ এবং গড়কান্দা চাঁন মিয়ার মালিকানাধীন রুবেল এন্টারপ্রাইজকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।