ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের হাজীগঞ্জ বাজারে তিনটি জুয়েলারি দোকান ও একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রায় ত্রিশ চল্লিশজনেরও একটি দল এলাকার নৈশপ্রহরীদের বেঁধে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে।
চুরি হওয়া জুয়েলারি দোকানগুলো হলো প্রফুল্ল কর্মকারের পুষ্পিতা জুয়েলার্স, শ্রীকান্ত কর্মকারের আশা জুয়েলার্স এবং গোপিনাথ কর্মকারের নিউ সুজলা জুয়েলার্স। এছাড়া জুবায়ের মোল্লার বাড়িতেও চুরি করে তারা।
জুবায়ের মোল্লা জানান, রাত দুইটার দিকে তিনি দোকানের সাঁটার খোলার শব্দ শুনে নিচে নেমে আসেন। কারা সেখানে ধমক দিয়ে জানতে চাইলে তেড়ে এসে তার বিল্ডিংয়ের কেঁচিগেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তারপর দশ থেকে বারজন তিনতলার দরজা ভেঙে তার ঘরে ঢুকে তাকে মারপিট করে চার ভরি স্বর্ণালংকার ও ৪ ভরি রৌপ্যালংকার ছাড়াও নগদ দুই লাখ টাকা লুট করে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কর্মকার, শ্রীকান্ত কর্মকার ও গোপীনাথ কর্মকার বলেন, তারা ঘটনার সময় কেউ দোকানে ছিলেন না। খবর পেয়ে রাতে বাজারে এসে দেখেন তাদের দোকানের সাটারের তালা কেটে সিন্দুক ভেঙে সবমিলিয়ে সাড়ে দশ ভরি স্বর্ণালংকার, চারশ বিশ ভরি রৌপ্যালংকার ও এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।
চর হাজিগঞ্জ হাট বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম ব্যাপারি বলেন, ত্রিশ থেকে চল্লিশজন ছিল ওই গ্রুপে। রাত ১টার দিকে চারজন নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে বণিক সমিতির অফিসের তালা কেটে সেখানে আটকে রাখে।
স্থানীয়রা জানান, পাশের উপজেলা সদরপুরের আটরশীতে উরস উপলক্ষে নৌপথ ও সড়কপথে গভীর রাতে কিছু লোকের চলাচল ছিল। তারা রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই বেঁধে রেখেছে। খবর পেয়ে লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, “কয়েকটি দোকানের তালা ভাঙার খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে আমিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটা একটি চুরির ঘটনা। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”