নড়াইল সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ৩টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বাড়িগুলোতে লুটপাটও চালানো হয়।
বুধ ও শুক্রবার (৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি) দুই দফায় উপজেলার শিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর এলাকায় নয়ন শেখের বাড়িতে এই ভাঙচুর চালানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানা যায়, তারাপুর গ্রামের নয়ন শেখের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের জুবায়ের শেখের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রেবাববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জুবায়েরের ওপর হামলা করেন নয়ন শেখের লোকজন। এতে জুবায়ের আহত হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনার জের ধরে জুবায়ের শেখ স্থানীয় আসাদ শেখের নেতৃত্বে বুধবার রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নয়ন শেখের বাড়িতে হামলা চালান। তারা ৪টি গরু ও ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাত ১২টার দিকে আরও দুটি ঘর ভাঙচুর করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় এবং নির্মাণাধীন একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে ফেলে।
ভুক্তভোগী নয়ন শেখ বলেন, “তারা ৩ ঘণ্টা ধরে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমি পুলিশের ৯৯৯-এ কল করলে তারা আমাকে মির্জাপুর ফাড়িতে যোগাযোগ করতে বলে। আমি ফাড়িতে যোগাযোগ করতে না পারায় আমার ঘরগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।”
নয়নের প্রতিবেশী মুজাহিদ শিকদার, দ্বীন মোহাম্মদ ও জাহিদ হাসান বলেন, “আমরা বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা শুনে এসছি। ভেবেছিলাম অল্প ভেঙেছে, এখন দেখছি অমানবিক কাণ্ড। একটি মানুষের আশ্রয়স্থল ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা এটা চরম অন্যায়।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুবায়ের শেখ বলেন, “আমি তো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছি। ওই বাড়ি কে বা কারা ভাঙচুর করেছে আমি জানি না।”
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আসাদ শেখের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, “রাতে কারা ঘর ভেঙেছে তা আমরা জানি না। জমি নিয়ে বিরোধ জুবায়েরের সঙ্গে। আমার স্বামী এ ঘটনায় জড়িত নয়।” পরে আসাদ শেখের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “মারামারির ঘটনাটি আমাদের নজরে এসছে। তবে বাড়ি ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”