সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বন্ধুর জন্মদিনে বেড়াতে এসে নদীতে গোসল করতে নেমে ৩ স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলের সদস্যরা ফুলজোড় নদী থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলো- কামারখন্দ উপজেলার ঝাঁটিবেলাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রাফি (১৫), সিরাজগঞ্জ শহরের বাহিরগোলা ঘোষপাড়া মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ নিয়োগীর ছেলে কৃষ্ণ (১৫) ও মাসুমপুর মহল্লার অধ্যাপক ইমরুল হাসান সোহেলের ছেলে সারজিল (১৬)। তারা সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতদের বন্ধু শিফাত বলে, “নদীতে যখন আমরা সবাই গোসল করি তখন আমাদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন সাঁতরে নদীর মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি সবাইকে নিষেধ করি কিন্তু তারা আমার কথা শোনে না। একপর্যায়ে পানির স্রোতে পাঁচজনই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি খুব কষ্ট করে দুইজনকে টেনে ওপরে তুলি আর তিনজন পানিতে ডুবে যায়।”
কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল জানান, শনিবার কয়েকজন স্কুলছাত্র কামারখন্দ উপজেলার ঝাঁটিবেলাই গ্রামে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। দুপুরের পর ৬ বন্ধু মিলে ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামলে তিনজন নদীতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে গ্রামবাসী পরে কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
এঘটনায় শনিবার রাতে রাফিন নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এরপর রোববার বেলা ১২টার দিকে নিখোঁজ অপর দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।