ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৩ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে রবিউল হাসান নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিউল হাসান সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক এবং বগাদানা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) উপজেলার বখতারমুন্সী শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষে এক সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিন ছাত্রী। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তার সহযোগীরা তাদের পিছু নেন। একপর্যায়ে তারা নানাভাবে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে তাদের চরথাপ্পড় ও লাথি মারেন রবিউল ও তার সহযোগীরা।
এরপর ছাত্রীরা কোনো কথা না বলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে বাড়ির দিকে রওনা হন। পরে রবিউলসহ তার সহযোগীরা তাদের পিছু পিছু আরেকটি গাড়ি নিয়ে অনুসরণ করতে থাকেন। পরে ছাত্রীরা উপজেলার কাজীরহাট সংলগ্ন কালিবাড়ির সামনে পৌঁছালে রবিউল আবার তাদের গতিরোধ করে ওই ছাত্রীকে টেনে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করতে থাকেন। এ সময় অপর দুই ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করে টেনে-হেঁচড়ে বোরকা ও হিজাব খুলে শ্লীলতাহানি করা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রবিউলসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক রবিউল হাসান, তার বাবা হেলাল উদ্দিন, সহযোগী মো. তুষার, মো. মুরাদ ও মো. ফারুক।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে রবিউল ও তার সহযোগীরা এলাকা ছেড়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে ফেনী শহরে যান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের ট্রাংক রোড থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।