চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় সীতাকুণ্ডের সাগর উপকূল থেকে আরও এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরা ঘাটঘর সংলগ্ন সাগর উপকূল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মোট তিনজন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হলো। তবে এ ঘটনায় আরও এক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত সোনা মিয়া (৫০) কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার রাজঘাট এলাকার সালেহ আহম্মদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ।
এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর সমুদ্র সৈকত থেকে নবীর হোসেন (১৯) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় একই সাগর উপকূল থেকে মো. মান্নান (২৬) নামের আরেক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা দুজনে লক্ষ্মীপুর জেলার আলেকজেন্ডার থানার সবুজ এলাকার বাসিন্দা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী সাগর উপকূল থেকে বালুবাহী বাল্কহেডটি সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাল্কহেডটি সন্দ্বীপ চ্যানেলের চার কিলোমিটার এলাকা অতিক্রমকালে বড় ঢেউয়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিনের অংশ ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ হন ওই বাল্কহেডে থাকা শ্রমিক মো. মান্নান, আবদুল হান্নান, সোনা মিয়া ও নবীর হোসেন। এ ঘটনায় চার শ্রমিককে উদ্ধারে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
দুর্ঘটনা ও নিখোঁজের ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক সৈয়দ জুনাইদুল হক বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এদিকে নিখোঁজ চার শ্রমিকের মধ্যে নবীর, মান্নান ও সোনা মিয়ার মরদেহ পাওয়া গেল। তবে এখনো এক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক আবু সাঈদ জানান, সোনা মিয়ার মরদেহ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।