খাগড়াছড়ির পানছড়ি থেকে অপহৃত তিন ইউপিডিএফ সদস্যকে উদ্ধার করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টায় তাদের উদ্ধারর করে পানছড়ি থানায় নেওয়া হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়াদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সোমবার রাতে পানছড়ি উপজেলার পুজগাংয়ের দুর্গম অনিলপাড়ায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে ইউডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ চারজনকে হত্যা করে এবং ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য রাতে লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় পাহাড়ের ওপর একটি ছনের ঝুমঘরে বাঁধা অবস্থায় ইউপিডিএফ সদস্য হরি কমল ত্রিপুরা, প্রকাশ ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমাকে উদ্ধার করে। সে সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
অভিযানটি রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে।
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুল হাসনাত জানান, উদ্ধার হওয়া তিনজনকে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া ইউপিডিএফের সংগঠক নিতী দত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও মিলন ত্রিপুরা জানান, ১২ ডিসেম্বর রাতে পুজগাংয়ের অনিলপাড়া এলাকায় একটি ঘরে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন তাদের প্রতিপক্ষ গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল ওই ঘরটি ঘিরে ফেলে। তারা কোনো কথাবার্তা ছাড়াই ঘরের দরজা ভেঙে ব্রাশফায়ার করে। এতে গুলিতে নিহত হয় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এ সময় তাদের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়।