নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ২৮টি ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে সাবেক এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরি যাওয়া ট্যাব ও ল্যাপটপগুলো উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. মোস্তাফিজ (২৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাদুউর ইউনিয়নের মান্দাপুর গ্রামের কবির হোসনের ছেলে। তিনি সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের আনসার সদস্য ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, গত ১৬ আগস্ট রাতে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে চুরির ঘটনা ঘটে। রাত্রিকালীন ডিউটি করার সময় আনসার সদস্য মোস্তাফিজ উপজেলা পরসিংখ্যান কার্যালয় থেকে চলমান অর্থনৈতিক শুমারি তালিকাকারীদের ২৮টি ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ চুরি করেন। চোরাই ট্যাবগুলো তিনি অনলাইনে নোয়াখালী সেল বাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেল বাজারের মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দেন।
ঘটনার কিছু দিন পর আনসারের চাকরি ছেড়ে উপজেলা পরিষদের পাশে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করেন মোস্তাফিজ। পরে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে চোরাই একটি ট্যাব ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। পরে তার ভাষ্যমতে তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আরও ২২টি ওয়ালটন ট্যাব উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় করা মামলায় মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের আদেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।