ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে দুই হাজারের বেশি গবাদিপশু ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস চাকমা। এ ছাড়াও আট হাজার হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে এবং ৩৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরের পরে আসা জোয়ারে উপজেলার হরণী, চানন্দী, সুখচর, নলচিরা, তমরদ্দি, চর ঈশ্বর, সোনাদিয়া ও নিঝুমদ্বীপের নয়টি গ্রামসহ ১৪টি গ্রাম ৪-৫ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে বাড়ি-ঘরে পানি ডুকে ভেসে গেছে ২ শতাধিক পুকুরের মাছ এবং গবাদিপশু।
স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আলম জানান, চোখের সামনে নলচিরা ঘাটের ১০টি দোকান জোয়ারের স্রোতে ভেসে যায়। জোয়ারের সাথে ঢেউয়ের তীব্রতার থাকায় এসব দোকান চোখের সামনে মুহূর্তে ভেসে যায়। অনেকে মালামাল নিয়ে বেড়িবাঁধের ওপরে রাখেন। তবে বেশিরভাগ দোকান মালামালসহ পানিতে ভেসে যায়।
জানা যায়, জোয়ারের পানি ও টানা বর্ষণে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকের ঘর ভেঙে গেছে। এক লাখ মানুষ পানিবন্দী।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিস চাকমা বলেন, হাতিয়াতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনো তৈরি হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।