সুনামগঞ্জে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ২০ মিনিটে দুই উপজেলার অন্তত ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি ও ২ শতাধিক দোকান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় সড়কের ওপর শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) রাতে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে এই ঝড় বয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০ মিনিটের এই ঝড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর, লক্ষণশ্রী ইউনিয়নসহ দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শান্তিগঞ্জ উপজেলার কামরূপাদলং, সদরপুর, চন্দ্রপুর, আস্তমা, তালুকগাঁও ও পশ্চিম পাগলা গ্রামেই অন্তত পাঁচশ বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, “কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘর তছনছ হয়ে গেছে। এখন শুধু দেহটা নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি।”
রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা মনির মিয়া বলেন, “ঝড়ের তাণ্ডবে আমার সাজানো সংসার ভেঙে গেছে। কষ্ট করে তৈরি করা ঘরটি ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙে গেছে।”
চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা গুলজান বেগম বলেন, “সংসারে ৮ জন মানুষ। কষ্ট করে টাকা জমিয়ে ঘর নির্মাণ করেছিলাম, কিন্তু আজ সেই ঘরের চিহ্নও নেই।”
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। ঘর নির্মাণের জন্য তাদের ঢেউটিন দেওয়া হবে।