বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। অপরজন রোহিঙ্গা যুবক।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার তুমব্রু সীমান্তবর্তী জলপাইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাংলাদেশির নাম আসমা খাতুন (৫৫)। তিনি তুমব্রু সীমান্তের জলপাইতলী এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। তবে মারা যাওয়া রোহিঙ্গা যুবকের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভূট্টো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মিয়ানমারের একটি মর্টালশেল জলপাইতলী এলাকায় এসে পড়ে। এ সময় একজন নারী ও একজন রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
এদিকে কয়েকদিন ধরে মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এতে সীমান্তের এপারে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এরপর থেকে অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের ভেতরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক। এসব গোলাবারুদ আর বিস্ফোরকের বিকট শব্দে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। অনেকে আবার বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।