মাদারীপুরে যাত্রীবাহী ২ বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ১৫ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে জেলার রাজৈর উপজেলার কালিবাড়ি বৌলগ্রাম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় একজনকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশালের বরগুনা থেকে চেয়ারম্যান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দ্রুতগতিতে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাজৈর উপজেলার বৌলগ্রাম ব্রিজ ও কালিবাড়ির মাঝামাঝি স্থানে এলে ঢাকার সায়দাবাদ থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় চেয়ারম্যান পরিবহনের বাসটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন বাস যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনার বেতাগি উপজেলার বিবিচিনি গ্রামের সুলতান মৃধার ছেলে হাফিজুলকে (৩০) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল ও একই উপজেলার আসাদের স্ত্রী শারমিনকে (২৬) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ছাড়া বেতাগি উপজেলার মহর আলী খলিফার ছেলে মোতালেবকে (৫০) রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে।
অন্যান্য আহতরা হলেন, বরগুনার বেতাগি উপজেলার আছাদের মেয়ে পপি, একই উপজেলার চাদখালী গ্রামের মিরাজ হাওলাদারের স্ত্রী কুলসুম, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আব্দুল গোফুরের ছেলে সোহেল, একই উপজেলার শাখারপাড় গ্রামের মনির মোল্লার ছেলে রাব্বি মোল্লা। তাদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “মেঘনা পরিবহন ও চেয়ারম্যান পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে নাই। সড়কে যান চলাচল এখন স্বাভাবিক আছে।”