সিলেটে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আটক বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সিলেট মহানগরীর ২৫নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সোলেমান হোসেন সুমন (৪২) ও ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান (৪৩)।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে স্থায়ীভাবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্তদের কাছে প্রেরিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক একটি পত্রে চিনি চোরাচালানিতে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, “যারাই এ রকম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি যতই বড় নেতা হন না কেন সঠিক তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যে তাদেরকে বহিষ্কার করেছি। এবার কেন্দ্র থেকে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় (সিলেট-ঢাকা) মহাসড়কের শেরপুর-সাদিপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে সিলেট নগরীর ২৫নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমার বারখলা রূপালি আবাসিক এলাকার মৃত ছানা মিয়ার ছেলে মো.সোলেমান হোসেন সুমন (৪২) ও ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ভার্থখলার সোনালী আবাসিক এলাকার মৃত দিলু মিয়ার ছেলে মো.আবদুল মান্নানসহ (৪৩) ছয়জনকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল, দুটি মাইক্রোবাস ও চোরাই চিনি ভর্তি ট্রাকটি জব্দ করা হয়।