বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রায় ছয় বছর জব্দ থাকা ১৯০ মেট্রিক টন গম ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আটক এসব গম ও ৫ মেট্রিক টন ডলোমাইট পাউডার ধ্বংস করা হয়।
এ সময় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী ও পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) জামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিত সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি নীলফামারী জেলার মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে ১৯০.১০ মেট্রিক টন গম আমদানির পর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র গমগুলোতে নানা রকম ক্ষতিকারক জীবানু রয়েছে বলে আশঙ্কা করে। পরে তা গমের সেম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকার (খামারবাড়ি) কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং গমগুলো পচা এবং ৫টি ক্ষতিকারক জীবাণু আক্রান্ত বলে জানানোর পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র গমগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টকে চিঠি দেয়। এরপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গমগুলো আটক করে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
স্থলবন্দর ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৮ সালে ১৪ জানুয়ারি ভারত থেকে মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে ১৯০.১০ মেট্রিক টম (অবীজ) আমদানি করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের দুটি ওয়্যারহাউজে আনলোড করে রাখে। প্রায় ৬ বছর যাবৎ ওয়্যার হাউজে পড়ে থাকায় পোকার আক্রমণে গমগুলো বিনষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি তাদেরকে বারবার চিঠি দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এই গমের স্তূপ কেন্দ্রিক পোকা-মাকড়, ইঁদুর ও বিষধর সাপের উৎপাত অসহনীয় পর্যায়ে পড়ে যায়। বিনষ্ট গমের দুর্গন্ধে ওয়্যার হাউজের কর্ম পরিবেশ দূষিত হয়ে বন্দরে, কর্মী ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দেয়।
এছাড়া প্রায় ৬ বছর যাবৎ পড়ে থেকে দুটি ওয়্যারহাউজের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রাখায় একদিকে চলমান পণ্যের জন্য স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। অপরদিকে বন্দর তথা সরকার নিয়মিত বন্দর মাশুল ও ভ্যাট হতে বঞ্চিত হওয়ায় বন্দর কমিটির নির্দেশে আজ গমগুলো ধ্বংস করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্থলবন্দরের দুটি ওয়্যারহাউজ খালি হলো। এখন অন্যান্য আমদানি পণ্য রাখা যাবে।