• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১৯


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম
জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১৯

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের কদম আলী মাদবর কান্দি গ্রামের কোরবান মাদবর গ্রুপ ও রাজ্জাক সিকদার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এসময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কদম আলী মাদবর কান্দি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে কোরবান ও রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইতোপূর্বে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকশ মানুষ দুই দলে বিভক্ত হয়ে লাঠিসোঁটা, রামদা, রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাবেয়া আক্তার ইভা বলেন, “আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের স্বজনরা ঢাকা নিয়ে যেতে চাইলে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।”

বিষয়টি নিয়ে কোরবান মাদবর বলেন, “কয়েকদিন আগে আমাদের দলের একজনের ঘর কুপিয়েছিল রাজ্জাক সিকদারের সমর্থকরা। সেখানে আমরা একটি মামলা করেছিলাম। এ কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়। সেই মামলায় তারা আদালত থেকে জামিনে এসে ককটেল বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।”

অপর পক্ষের রাজ্জাক সিকদার বলেন, “কিছুদিন আগে কোরবান মাদবরের সমর্থক ও আমার সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে কোরবান মাদবরের লোকজন তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরা ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। সেই মামলায় আমরা হাজিরা দিয়ে আসার সময় কোরবান মাদবরের সমর্থক বজলু মাস্টার আমাদের লোকজনকে কটুক্তি করে কথা বলে। এরপরই বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কোরবান মাদবরের লোকজন বোমা নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে।”

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!