বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় আত্মসমর্পণ করে হাসতে হাসতে কারাগারে গেছেন আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মী।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতাকর্মী আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক হাদিউজ্জামান শুনানি শেষে জামিন নামুঞ্জর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় আদালত থেকে বের হয়ে কারাগারে যাওয়ার সময় আসামিদের বেশ হাসিখুশি দেখা যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন হাত উচিয়ে স্লোগানও দেন।
কারাগারে পাঠানোদের মধ্যে জিটিভি’র নড়াইল প্রতিনিধি মির্জা মাহমুদ হোসেন রন্টু, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল কুন্ডু, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমানসহ ১৮ নেতাকর্মী রয়েছেন।
জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে আসামিদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে হুজুরাদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে সদর উপজেলার সীমাখালী-মালিবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের খুন-জখম করার উদ্দেশে বোমা বর্ষণ ও গুলি চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
এঘটনায় ৯০ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৪০০-৫০০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত ১০ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান পলাশ।