ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট ঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। লঞ্চ-ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী নিলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। এছাড়া ঈদের আগে-পরে ছয়দিন পচনশীল পণ্য ছাড়া সব ধরনের ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হবে।
পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রী কমলেও ঈদের সময় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক যাত্রীর চাপ বাড়ে। গেল রোজার ঈদেও এই রুটে পারাপার হন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, এবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার ৭টি ঘাট দিয়ে চলবে ১৮টি ফেরি। আর আরিচা-কাজিরহাটে চলবে ৫টি ফেরি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচল করবে ৩০টি লঞ্চ। আরিচা-কাজিরহাটে চলাচল করবে ১৩টি লঞ্চ।
এছাড়া, এই আরিচা-কাজিরহাটে ৪১টি স্পিডবোটও চলাচল করবে বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানামা বন্ধে নৌ-পুলিশের নজরদারি আর ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক হাজার সদস্য কাজ করবেন।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, দুই নৌপথের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য দুটি কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে। লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানামা বন্ধ, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা এবং মহাসড়কে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ঠেকাতে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘাটে সবসময় কাজ করবে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঈদের সময় ঘাট এলাকায় নানা অপরাধ বেড়ে যায়। অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন অনেক যাত্রী। ঘরমুখো মানুষ যাতে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।