• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ১৭


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ১৭

শেরপুরে যাত্রীসহ দুই মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ছয় শিশুসহ অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের নবীনগর পাসপোর্ট অফিসের সামনে শেরপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সদর উপজেলার বাকারকান্দা এলাকার হযরত আলীর ছেলে রুস্তম আলী (৫৫), শ্রীবরদী উপজেলার মাহমুদুল হাসান শাহিনের মেয়ে তাবাসসুম (৫), ফিরোজ (৩৫), ফরিদা বেগম (৪২), মোয়াজ (৬), সোহানা (১২), সিয়াম (৬), লিটন (৪০), সুমন (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস দুটির মধ্যে একটি ঢাকার এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে এবং অন্যটি সাভারের বাইপাইল থেকে শেরপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। সাভার থেকে আসা মাইক্রোবাসটি শেরপুরের গ্যাসপাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে শেরপুর সদরের তারাকান্দির দিকে রওনা হয়। শহরের নবীনগর এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছলে অপর মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এসময় মাইক্রোবাস দুটি ছিটকে করে দুমড়েমুচড়ে যায়। বিকট শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও ৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে অন্তত ১০জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে মাইক্রোবাস কেটে বের করে মোট ৮ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। বাকিদের স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।”

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

Link copied!