কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌছেছে আরও ১ হাজার ৫২৭ রোহিঙ্গা। একই বহরে ৬৪০ জন পুরাতন রোহিঙ্গা ছিল।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩ হাজার ৫২৭।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছায়।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২২ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৩২ হাজার রোহিঙ্গাকে। ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদেরে নৌবাহিনীর পেঙ্গুইন, তিমি, ডলফিন, টুনা জাহাজে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।