লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাওনা টাকা নিয়ে লোড-আনলোড শ্রমিক ও সর্দারদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিরাজ করা উত্তেজনা বিকেল ৩টার দিকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এর আগে, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি নিয়ে শ্রমিক সর্দারদের বিরোধের জেরে মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। পরে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ তারিখের পর বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পাটগ্রামের ইউএনও নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাকে উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিসে অবরোধ করে রাখা হয়।
পরে বিকেল ৩টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এক সাংবাদিক ও অন্তত ১৪ জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিক কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে থানার ওসি, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনা হয়।”