ফরিদপুরের সালথায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে আরেক সহসভাপতি ও সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জের ধরে প্রায় মাঝে মধ্যেই ওই দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায় পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান হামিদ চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন হামিদ। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করেন। হামলার বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় দুপক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৫-৬টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।