• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বান্দরবানে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
বান্দরবানে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের ১৪ সীমান্তরক্ষী
বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়েছে দেশটির ১৪ সীমান্তরক্ষী সদস্য। ছবি : সংগৃহীত

বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির ১৪ সীমান্তরক্ষী সদস্য তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তারা।

এর আগে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে কেঁপে উঠছে। তাদের ছোড়া গুলির শিশা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এ সময় এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত বাড়িতে এসব এসে পড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়া কৃষকরা কৃষিজমিতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।

তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা রূপলা ধর নামে একজন বলেন, “সকাল ৮টা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। অনেক ভয় হচ্ছে, কখন কোন সময় কী হয়, তা আমরা বুঝতে পারছি না।”

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাশের এলাকার এক ঘরের চালের ওপর বিস্ফোরিত রকেট লান্সার এসে পড়েছে শুনেছি। অনেকের উঠানে গুলিও এসে পড়ছে। এ ঘটনায় ঘরের বাইরে যেতেও ভয় হচ্ছে।’

তুমব্রু কোনার পাড়ার বাসিন্দা ভুলু বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে মর্টারশেলের বিস্ফোরিত অংশ আমার ঘরেরচাল ভেদ করে ভেতরে পড়েছে। একটুর জন্য আমাদের পরিবার প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি, ঘরেও নিরাপদে থাকতে পারছি না।’

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে বিকট শব্দে কেপে উঠছে, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। এলাকাবাসীকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Link copied!