• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার যানজট


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার যানজট
১৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট। ছবি : সংগৃহীত

ঘন কুয়াশা এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে এ যানজট সৃষ্টি হয়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে মালবাহী ট্রাক চালকরা। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে কাঁচামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে পরিবহনগুলো এলোমেলোভাবে গাড়ি চালায় চালকরা। এর ফলে সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করেন চালকরা।

পাবনাগামী ট্রাকচালক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে অতিরিক্ত কুয়াশায় পড়েছে। এতে করে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কের সড়কে আজ সকাল থেকে অনেক যানজট হয়েছিল। আধাঘণ্টা ধরে বসে ছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রংপুরগামী বাসযাত্রী হাসান মিয়া ও নজরুল ইসলাম বলেন, “কুয়াশায় কিছু দেখা যায়। তার মধ্যে প্রচুর শীত। যার ফলে চালকরা খুব ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। এতে করে সেতু পূর্ব রেলস্টেশন এলাকার জোকারচর এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে বসে আছি “

এদিকে, মহাসড়কের তীব্র যানজট যানজট নিরসনে এলেঙ্গা হাইওয়ে ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ ও বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্যরা কাজ করছেন। পরে বেলা সাড়ে ৮টার পর থেকে মহাসড়কের কিছু কিছু অংশে যানজট কমে আসতে শুরু করেন।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ভোর রাত থেকে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ঘন কুয়াশা পড়লেও টোল আদায়ে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। স্বাভাবিকের মতো টোল আদায় করা হচ্ছে। টোলপ্লাজা এলাকায় ঘনকুয়াশায় গাড়ির গতির দৃষ্টিসীমা পরিমাপক বিশেষ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।

Link copied!