অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে চট্টগ্রাম বিভাগেরই রয়েছেন ১৩ জন। অথচ, রাজশাহী, রংপুর আর ময়মনসিংহ বিভাগের একজনও নেই। এতে অঞ্চলবৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন রেখে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে কাউকে উপদেষ্টা করা হয়নি। তিন বিভাগ থেকে কি একজনও নেই, যিনি মন্ত্রণালয় চালানোর যোগ্য?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, “অঞ্চলবৈষম্য আমরা সমর্থন করি না।” উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগের সমালোচনা করে সারজিস বলেন, “ফারুকী তার পুরো সময়ে ক্ষমতায় কাছাকাছি থাকার জন্য যেভাবে তোষামদি করার দরকার তা করেছেন। এই ফারুকীরা কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসেন?”
এ রকম কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও গা বাঁচিয়ে চলা লোকজনকে উপদেষ্টা হিসেবে সারজিসরা দেখতে চান না বলে মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে উপদেষ্টা করার দাবির বিষয়েও কথা বলেন সারজিস।
সারজিস আলম বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনেকবার আখতার হোসেনের রক্ত ঝরেছে। তিনি প্রতিদিন আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। তার এই অবদানকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”
জুলাই অভ্যুত্থানের পর মামলা–বাণিজ্য নিয়ে সারজিস আলম বলেন, “আমরা আমাদের জায়গা থেকে কঠোরভাবে বলতে চাই, আমার শহিদ ও আহত ভাইদের নিয়ে মামলা–বাণিজ্য চলবে না।”