সবুজ চা-বাগান ঘেরা সিলেট বিমানবন্দর সড়কে জেলাটির রানার্স কমিউনিটির আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে হাফ ম্যারাথন। এতে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের প্রায় এক হাজার ২০০ দৌড়বিদ।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, এবার ম্যারাথনের মাধ্যমে ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটিকে উপস্থাপন করা হবে।
সিলেট রানার্স কমিউনিটির অ্যাডমিন মনজুর আহমেদ আরিফ বলেন, “বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও সিলেট রানার্স কমিউনিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে হাফ ম্যারাথন। ইউনিমার্টের পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার ভোর ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ইউনিমার্ট সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২২’।”
মনজুর আহমেদ আরিফ বলেন, “সিলেট রানার্স কমিউনিটি ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করার পর বিভিন্ন ধরনের দৌড় প্রতিযোগিতা ও দৌড়বিদদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের সিলেট মিনি ম্যারাথন দিয়ে যাত্রা শুরু এ ধরণের আয়োজনের। ২০১৯ এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে ব্র্যান্ডল্যান্সার সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২০, গত বছরের জানুয়ারিতে র্যাব ফোর্সেস সিলেট হাফ ম্যারাথন ও একই বছরের ডিসেম্বরে কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হল সিলেট হাফ ম্যারাথনের পর এবারের পঞ্চম বৃহৎ আয়োজন এই হাফ ম্যারাথন।”
মনজুর আহমেদ আরিফ আরও বলেন, “সর্বমোট এক হাজার ২০০ দৌড়বিদের সমন্বয়ে ২১.১ কিলোমিটার ও ১০ কিলোমিটার দুই ক্যাটাগরিতে ইভেন্টটি আয়োজিত হচ্ছে। ২১.১ কিলোমিটারে ৪০ জন নারী ও ৩০০ জন পুরুষ মিলে ৩৪০ জন অংশ নিচ্ছেন। ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে ৭০ জন নারী ও ৭৯০ জন পুরুষ মিলে মোট ৮৬০ জন দৌড়বিদ অংশ নিচ্ছেন। দৌড়টি নগরীর সার্কিট হাউজের সামনে থেকে সকাল ৬টায় শুরু হয়ে বন্দর, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, এয়ারপোর্ট রোদের বাইশটিলা গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, লাক্কাতুরা প্রাঙ্গণে শেষ হবে। ইভেন্টে আমাদের নিজস্ব ২০০ জন ভলান্টিয়ার কাজ করবে। যারা রোড সেফটির পাশাপাশি ফার্স্ট এইড সাপোর্ট প্রদান করবে।”
আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
এই আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে বাংলাদেশের চেইন সুপার শপ ইউনিমার্ট। এর পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন মেসার্স সুরভী এন্টারপ্রাইজ, ফিজা অ্যান্ড কোম্পানি, এসএমসি প্লাস, আইটি চাম ও প্যারাডোন্টেক্স।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তরুণ সমাজকে মাদক ও খারাপ দিক থেকে বিরত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। প্রতি বছরই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে দৌড়ের প্রতি আকৃষ্ট করা হচ্ছে। এ ধরণের আয়োজনে একেকটি জায়গায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দৌড়বিদ আসেন, যা দেশের পর্যটন শিল্পেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে।