• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২০ দিন ধরে পানির নিচে সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমির ধান


আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৩, ১১:০০ এএম
২০ দিন ধরে পানির নিচে সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমির ধান

নওগাঁর আত্রাইয়ে ২০ দিন ধরে পানি নিচে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমির ধান। এ ছাড়া ৩৫০ বিঘা জমির সবজি ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৫২টি পুকুরের প্রায় ৮০ লাখ টাকার মাছ।

জানা গেছে, গত মাসের শেষের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। একপর্যায়ে নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের নন্দনালী বেড়িবাঁধ, আত্রাই-সিংড়া সড়কের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। পরের দিন সকালে একই নদীর কাশিয়াবাড়ী বলরম চক-ইসলামগাঁথী বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে লোকালয়ে পানি ঢুতে পড়ে। ওই সময় প্রায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, বন্যায় উপজেলার ৫২টি পুকুরের প্রায় ৮০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত চন্দ্র কুন্ডুর দেওয়া তথ্য মতে, বন্যায় উপজেলার ১১ হাজার ৪৭৫ বিঘা জমির ধান এবং ৩৩৭ বিঘা জমির বিভিন্ন রকমের সবজি পানিতে ডুবে গেছে। বন্যার পানি মাঠে এখনো স্থির থাকায় উপজেলার মনিয়ারী, কচুয়া, বাহাদুরপুর, বাঁশবাড়িয়া, ফটকিয়া, পালশা, নৈদীঘি,পতিসর, মাঝগ্রাম, বড়সাওয়তা, পৈসাওতা, দমদত্তবাড়িয়াসহ অনেক এলাকার মাঠের ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

পালশা গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম বলেন, তিনি চলতি মৌসুমে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। কিন্তু বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ধানের গাছ পচে গেছে।

মনিয়ারী গ্রামের সাইফুল ইসলাম টুটুল জানান, তিনি সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। সব ধান বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হবে।

Link copied!