ফরিদপুরের বোয়ালমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার একদিন পর পদত্যাগ করেছেন ১১ জন নেতা।
রোববার (২ মার্চ) কলেজ কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে শনিবার (১ মার্চ) বোয়ালমারী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসাইন অনু ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস।
কমিটিতে বোয়ালমারী সরকারি কলেজে পাপ্পু বিশ্বাস নাঈমকে সভাপতি ও সম্রাট মোল্যাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৮ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার ২১ দিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে জেলা ছাত্রদলের দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- বোয়ালমারী সরকারী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে মো. শামীম, মোহাম্মদ ইউসুফ শেখ, জোবায়ের হোসেন, রিভা খাতুন, শাহ জালাল, তৈয়েবুর মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে ইসা খানম, আখিঁ আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে উম্মে সায়মা, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে তাসলিমা আক্তার এবং সংস্কৃতি সম্পাদক পদ থেকে শাকিল মোল্লা।
পদত্যাগকারী নেতারা বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার আমলে যারা জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছিল তাদের অবমূল্যায়ন করে বাণিজ্যের মাধ্যমে পকেট কমিটি করা হয়েছে। বিগত দিনে যারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুবিধা ভোগ করেছে। সেই সঙ্গে ৫ আগস্টের পরে তারা বিএনপির চেতনায় ফিরে এসে উৎকোচের মাধ্যমে কমিটির বড় বড় পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন। এ কমিটিতেও তার কোনো ব্যতয় ঘটেনি। আমারা চাই এই পকেট কমিটি বিলুপ্ত করে আবার নতুন কমিটি ঘোষণা করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হোক।”
পদত্যাগকারীরা অভিযোগ করে বলেন, “এই কমিটিতে পাপ্পু বিশ্বাসকে সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বোয়ালমারী সরকারি কলেজের নিয়মিত ছাত্র না। শিহাব শেখকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ করা হয়েছে। শিহাব বিগত দিনে ছাত্রদলের কোনো মিটিং মিছিলে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করেননি। সাধারণ সম্পাদক দেওয়া হয় মো. সম্রাট মোল্লাকে। তিনি এর আগে কোনো রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। নতুন এসেই উৎকোচের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।”
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু বলেন, “কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অনেক পদ প্রত্যাশিত থাকেন, যারা যারা পছন্দের পদ না পেয়ে এসব অভিযোগ করছেন। তারপরও যদি এই কমিটিতে কোনো অনুপ্রবেশকারী থাকে তাহলে তাদের বিষয়ে গভীরভাবে খোঁজ নেওয়া হবে এবং সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”