জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের পশ্চিম পাশের দহ বিলে মাছ চাষ, মাছ ধরা নিয়ে জেলা বিএনপির জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল এবং মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন মাস্টারের গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা চলছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে আওয়াল চেয়ারম্যানের কর্মী সমর্থকরা দহ বিলের পাড়ে খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করেন। এ সময় লিটন মাস্টারের কর্মী সমর্থকরা দুইটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা চালান। পরে আওয়াল চেয়ারম্যানের কর্মী সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালিয়ে ৮টি বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ১০ জন আহত হন। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আব্দুল আওয়াল বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মীরা তালতলা দহ সংলগ্ন বটতলা মোড় এলাকায় খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করেন। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন ও তার সমর্থকরা খিচুড়ির আয়োজন পণ্ড করে দেয়। এ ছাড়াও তারা চলে যাওয়ার সময় বাড়ি ঘর দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন লিটন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়াল চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে আমার ৮ জন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।”
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নেতাকর্মীরা বিষয়টি নিয়ে পার্টি অফিসে বসে আলোচনা করছেন। পরে এ বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।