সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বজ্রপাতে এক শ্রমিক ও পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৃথক দুটি স্থানে দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
দুপুরে বজ্রপাতে উপজেলা সদরের মুক্তিখলা গ্রামে গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে ইমদাদুল ইসলাম (৫০) মৃত্যু হয়েছে ও ইউনুস মিয়া (৮) ও আরাফাত হাসান মেহেদী (৭) পানিতে ডুবে মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন ইমদাদুল হকসহ চার শ্রমিক। এসময় বজ্রপাতের ঘটনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ইমদাদুল ইসলাম। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ডা. সুমন চন্দ্র বর্মন বলেন, “হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইসিজি করে কোন পালস পাইনি। ঘটনাস্থলেই বজ্রপাতে মৃত্যু ঘটেছে তার।”
একই সময়ে উপজেলা সদরের সামনের করচার হাওরে ইউনুস মিয়া (৮) ও আরাফাত হাসান মেহেদী (৭) পানিতে ডুবে মারা যায়। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত ইউনুস মিয়া (৮) উপজেলা সদরের রাধানগরের ফজলুল হকের ছেলে। অপর নিহত শিশু আরাফাত হাসান মেহেদী (৭) উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের মনোয়ার হোসেন ময়নার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মামার বাড়ি থেকে পড়াশুনা করত আরাফাত। দুপুরে মামাতো ভাই ইউনুস ও আরাফাত উপজেলা সদরের সামনের করচার হাওরে খেলার ছলে পানিতে নামে। এসময় এক ভাই ডুবে গেলে বাঁচানোর জন্য আরেক ভাইও ডুবে মারা যায়। কিছুক্ষণ পর একজনের লাশ ভেসে ওঠে। শেষে খোঁজাখুঁজি করে আরেকজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করা হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি কাউছার আলম তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।