আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ায় ২ পক্ষে সংঘর্ষে হাসিম মোল্যা (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় দুই পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিম মোল্যা হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন, কালিয়া থানায় কর্মরত ২ পুলিশ সদস্য চন্দন সাহা ও সজল এবং সিলিমপুর গ্রামের কাদের মোল্যা তার দুই ছেলে জনি মোল্যা ও হাসিম মোল্যা, তোতা মোল্যার ছেলে বনি মোল্যাসহ মোট ৬ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে শনিবার সকালে ঠান্ডু মোল্যার লোকজন প্রতিপক্ষ জনি মোল্যাসহ তার লোকজনের ওপর হামলা করে এঘটনায় ঠেকাতে গিয়ে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। এ ঘটনায় দুপুরে জনি মোল্যা গ্রুপের হাসিম মোল্যা নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এদিকে সকালে হামলার শিকার হয়ে জনি গ্রুপের লোকজন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জনি গ্রুপের দুইজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত আহমেদ মোল্যার ছেলে সিরাজ মোল্যা ও একই গ্রামের মকবুল শেখের ছেলে আজিজার শেখ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাসিম মোল্যা নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আমাদের দুই পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি ওয়ান শুটার গান ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।”