• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

আমাকে গুলি করা হয়েছে : মেয়র সেরনিয়াবাত


বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১, ১০:৫৫ এএম
আমাকে গুলি করা হয়েছে : মেয়র সেরনিয়াবাত

বরিশাল নগরের থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ্য করে আনসার সদস্যদের গুলিবর্ষণ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনার পর থানা কাউন্সিলসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাকে গুলি করা হয়েছে। সেগুলো আমার জ্যাকেটের কারণে শরীরের ভেতরে লাগেনি। কিন্তু গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি। গুলির সময় নেতা-কর্মীরা সামনে চলে আসায় তাদের গায়েই গুলিগুলো লেগেছে। কতজনের গায়ে লেগেছে, তা আমি হিসাব করে বলতে পারব না। কতজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, সে বিষয়েও এখন কিছু বলতে পারব না।”

মেয়র আরও বলেন, “যে কাজ করতে গিয়ে আজকের এ ঘটনা, ওই কাজটি আমাদের রেগুলার কাজ। গতকাল আপনারা ছিলেন আমার সংবাদ সম্মেলনে তখন আমি ব্যানার নিয়ে স্টেটমেন্ট দিয়েছি, পুরোনো ব্যানার বা ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারগুলো সরিয়ে ফেলতে। এতে শহর পরিষ্কার হবে। আর আপনারা জানেন মনে হয়, আমার নিজের করা ব্যানারটিও আমি খুলে ফেলেছি। সেই ধারাবাহিকতায় পরিষ্কার করতে করতে তারা থানা কাউন্সিলে গিয়েছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা আমাকে যেটা জানিয়েছেন, ওখানে কাজ প্রায় শেষের পথে ছিল, পরিষ্কার করে চলে আসবে তখন ইউএনও সাহেব বের হয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বলেছে কার কাছে জিজ্ঞাসা করে সেখানে তারা গিয়েছে। কর্মীরা বলেছে, তাদের গালাগালি করা হয়েছে।”

মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, “যখন তারা আমাকে বলল যে গুলি হচ্ছে, তখন আমার বাসায় আমি, আমাদের সিটি করপোরেশনের সিও, মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা উপস্থিত ছিল। আমি তাৎক্ষণিক একাই ঘটনাস্থলে চলে গেলাম। আমি যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে হেলমেট খুলে কর্মীদের বললাম তোমরা গেটের বাইরেই দাঁড়াও কেউ ভেতরে যেও না। এরপর একা থানা কাউন্সিলের গেট দিয়ে যখন ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম এবং বললাম আমি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র। তারা সে কথা শুনে অনবরত গুলি করা শুরু করল।” 

মেয়র আরও বলেন, “আমি ওখানে যাওয়ার পরে পুলিশ কমিশনার সাহেব, র‌্যাবের সিও, আনসাররা গুলি করায় আনসারদের প্রধানকেও ফোন করেছি। কিন্তু আমি চলে আসার পরে পুলিশ বের হয়ে আসার পরও আবারও নাকি গুলি হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদককে যেহেতু আটকে রাখা হয়েছে, তাই হয়তো প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু আলোচনার জন্য ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাকে গুলি করা হয়েছে। ৩৫-৩৭টি শটগানের গুলির পিলেট তার গায়েও লেগেছে। আমাদের সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস ব্যানার উচ্ছেদের সময় থেকেই ওখানে ছিল। তার গায়েও গুলি লাগছে।”

এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে মেয়র বলেন, “অবশ্যই আমরা আইনের আশ্রয় নেব। মেয়র হিসেবে এভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না। আমি মেয়র হিসেবে তাহলে ব্যর্থ। প্রধানমন্ত্রী আমাকে শপথ পড়িয়েছেন, আমার বাবা আছেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে, আমি আমার রেজিগনেশন লেটার দিয়ে দেব।”

Link copied!