• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

পুলিশ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে মেয়রসহ গুলিবিদ্ধ ৩০


বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২১, ০৮:৪৫ এএম
পুলিশ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে মেয়রসহ গুলিবিদ্ধ ৩০

বরিশালে আওয়ামী লীগসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত জানান, রাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে থানা কাউন্সিল এলাকায় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা শোক দিবসের লাগানো ব্যানার খুলতে এলে ইউএনওর নেতৃত্বে তাদের বাধা দেন উপজেলা পরিষদের আনসার সদস্যরা। এ সময় আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। খবর পেয়ে শতাধিক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের উদ্দেশে গুলি ছোড়ে। গুলিতে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা উপজেলা পরিষদ ভবনে প্রবেশ করে ইউএনও মুনিবুর রহমানের শাস্তি দাবি করে স্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ তাদের উদ্দেশে আবারও গুলি ছোড়ে।

এদিকে এই সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য আবু বকর ও শরিফুল আহত হন। তাদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান অভিযোগ করেন, শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার-পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এই ব্যানার ছিঁড়তে আসেন। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসে। লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বৃহস্পতিবার সকালে এগুলো ছিঁড়তে বলেন। ব্যানার ছিঁড়তে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে গালিগালাজ করেন। 

মুনিবুর রহমান অভিযোগে আরও জানান, একপর্যায়ে তার সরকারি বাসভবনে হামলা চালান ছাত্রলীগের কর্মীরা। রাত সাড়ে ১০টা ও ১১টায় দুই দফায় ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালান।

এদিকে হামলা ও সংঘর্ষের পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত অভিযোগ করে বলেন, “ইউএনওর নির্দেশে আনসার সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

বরিশাল মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেছেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর ইউএনওর নিরাপত্তায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

Link copied!