২০২১ সালে সিলেট বিভাগে মোট ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৭৮ জন ও আহত হয়েছেন ৬৫৪ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত ও ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ১৯৩ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৮ জন নিহত ও ১০২ জন আহত হয়েছেন।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২০ সালে ১৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট বিভাগে ২৫০ জন নিহত ও ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু জানান, দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচা'র শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালনা, সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, রাস্তার পাশে হাট-বাজার ও দোকানপাট বসানোকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন না হওয়া ইত্যাদি মূল কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনে জেলা পর্যায়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা, অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিকশার আলাদা লেন না থাকা, পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতা, জেব্রা ক্রসিং, ওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে যত্রতত্র পারাপার এবং রাস্তায় চলাচল ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে দায়ি করা হয়েছে।