১৬ দিন অভুক্ত থেকে মারা গেছে রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী ‘শাওন’। ফলে বাঘ শূন্য হয়ে গেছে রংপুর চিড়িয়াখানা। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে খাঁচায় থাকা অবস্থায় মারা যায় শাওন। বাঘিনীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার বলেন, “শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঘিনীটি মারা যায়। খাঁচায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। এই বাঘিনীকে শাওন নামে ডাকা হতো। ২০১০ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় শাওনকে আনা হয়। এটির জন্ম ২০০৩ সালের ৩০ জুন। বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস।
অনেকেই মনে করছেন, মাঘের শীত আর বৃষ্টিতে বয়স্ক বাঘিনীটি অসুস্থ থাকার কারণে মৃত্যুর ১৬ দিন আগেই খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে মৃত্যুর আগে কোনো রোগে আক্রান্ত ছিল না। মূলত বার্ধক্যের কারণে প্রাণীটি মারা গেছে বলে দাবি তাদের।
ডেপুটি কিউরেটর আরও বলেন, বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এ বাঘিনীর বয়স বেশি হয়েছিল। সে অনুযায়ী বার্ধক্যের কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে চিড়িয়াখানাতেই পরিবেশ সম্মতভাবে তার মরদেহ মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে।
দেশের দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুরে একটি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এরমধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, কুমির, ঘড়িয়াল, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া ও ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।