অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামের কালুরঘাট সড়ক সেতু ১২.২ মিটার উচ্চতায় হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে নতুন সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরসহ ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ৯ সদস্যের দল সরেজমিনে কালুরঘাট সেতুতে যান। সেখানে তারা সেতুসহ উভয় পাশের রেললাইন এবং গাড়ি চলাচলের জন্য উভয় পাশের সংযোগ সড়কের জায়গা পরিদর্শন করেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবির জানান, কালুরঘাটে নতুন রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে। সেই লক্ষ্যে তারা সেতুর দুই পাশের রেললাইন এবং ব্রিজসহ ৪ কিলোমিটার এবং গাড়ি চলাচলের জন্য দুই পাশে দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক পরিদর্শন করেছেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। তারা চট্টগ্রামে মিটিং করেছেন। ঢাকায়ও মিটিং করবেন। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী ১২ দশমিক দুই মিটার উচ্চতায় নকশা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সেতু হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের শর্ত অনুযায়ী ১২ দশমিক দুই মিটার উচ্চতায় সেতু করতে গিয়ে এখন নতুন করে সমীক্ষা হচ্ছে। এবার নতুন করে সমীক্ষা চালাচ্ছে সেতুর অর্থদাতা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক। আগের ডিজাইন, বাজেট সবকিছুই বাদ। নতুন সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর হবে নতুন ডিজাইন, নতুন বাজেট এবং নির্ধারণ করা হবে নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ। আগামী মে মাসে সমীক্ষা রিপোর্ট দাখিল করবেন বলে জানান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবির।