• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

হেফাজত তাণ্ডব : এক বছরেও চার্জশিট হয়নি ৫৬ মামলার


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২২, ০৩:৫১ পিএম
হেফাজত তাণ্ডব : এক বছরেও চার্জশিট হয়নি ৫৬ মামলার
ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৬ মার্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য এক আতঙ্কের দিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে ২০২১ সালের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

গত বছরের ২৬ মার্চ দুপুরে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা প্রথমে হামলা শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। এ সময় রেলওয়ে স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল, টিকিট কাউন্টার ও বুকিং কাউন্টারসহ সম্পূর্ণ স্টেশন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ১২ জন।

জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব ঘটনায় ৫৬টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি, সরাইল থানায় দুটি ও রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১০টি মামলা সিআইডি, ৯টি পিবিআই, ২৭টি সদর মডেল থানায়, ডিবিতে চারটি, আশুগঞ্জে তিনটি, সরাইলে দুটি ও রেলওয়ে থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন আছে। তবে কোনো মামলাতেই অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৭৫৮ জনের মধ্যে জামিনে আছেন ৬৩৮ জন।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব এই নারকীয় হামলাগুলোর অভিযোগপত্র দেওয়া হোক। এসব অভিযোগপত্রে যেন সত্যিকারের যারা দোষী, তাদের আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি প্রত্যাশা থাকবে কোনো নিরপরাধ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, “আমাদের কাছে যেসব মামলা রয়েছে, তা আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। সবগুলো মামলায় তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।”

Link copied!